শনি চালিশা ইন বাংলা: শনি দেবের কৃপা প্রাপ্তির পথ

যদি আপনি শনি দেবের আশীর্বাদে জীবনে শান্তি এবং সমৃদ্ধি আনতে চান, তাহলে শনি চালিশা ইন বাংলা পাঠ করা একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। Shani Chalisa in Bengali -র উচ্চারণ শনির প্রভাব কমাতে সাহায্য করে এবং এটি আপনার নিজের ভাষায় হওয়ায় এর পাঠ করাও সহজ হয়ে যায়। আমরা আপনার সুবিধার জন্য এখানে Shani Chalisa in Bengali Language উপলব্ধ করিয়েছি–

Shani Chalisa In Bengali

দোহা

জয় জয় শ্রী শনিদেব প্রভু,
শোনো বিনয় মহারাজ।
করো কৃপা হে রবিশুত,
রাখো ভক্তের লাজ॥

চৌপাই

জয় জয় শনিদেব দয়ালু,
ভক্তদের করো সদা রাখালু॥১॥

চার ভুজায় শ্যাম দেহ শোভে,
মাথায় মণিমুকুট রটে॥২॥

বিশাল ললাট মনোহর মোহন,
বাঁকা দৃষ্টি ভয়ঙ্কর ভ্রূকুটি গহন॥৩॥

কানে কুণ্ডল ঝলমল ঝলকে,
বুকে মুক্তা-মণির মালা ঝুলকে॥৪॥

হাতে গদা, ত্রিশূল ও কুঠার,
শত্রুর করো ক্ষণেই সংহার॥৫॥

পিঙ্গল, কালো ছায়ার পুত্র,
যম, কৌণস্থ, রৌদ্র, দুঃখ বিনাশক শত্রু॥৬॥

শৌরি, মন্দ, শনি – এই দশ নাম,
সূর্যপুত্র, ভক্ত করে পূজা নিরন্তর কাম॥৭॥

যে ভক্তের প্রতি তোমার কৃপা হয়,
তখনি রঙ্ক রাজায় রূপ পায়॥৮॥

পর্বতকেও ঘাস সম জানে,
ঘাসকে করে পর্বতের মানে॥৯॥

রাজ্য দিলেন বনে রামকে,
কৈকেয়ীর বুদ্ধি ঘোরালে তুমি তাঁর প্রতি শাপে॥১০॥

বনে মৃগ রূপে ভ্রম সঞ্চারিলে,
সীতামাতাকে অপহরণে চালিলে॥১১॥

লক্ষ্মণকে শক্তিতে করেছিলে অচেতন,
সেনাবাহিনীতে ছড়িয়ে পড়ে হাহাকার মন॥১২॥

রাবণের বুদ্ধি হয়েছিল বিভ্রান্ত,
রামচন্দ্রের সাথে করেছিল বৈর ঘনান্ত॥১৩॥

পিপড়ের মত দিয়েছিলে কাঞ্চন লঙ্কা,
হনুমানের বজ্রাঘাতে হল ধ্বংস চিহ্নাঙ্কা॥১৪॥

বিক্রম রাজায় রেখেছিলে পদ,
চিত্রা ময়ূর গিলেছিল হারের সদ॥১৫॥

নব লক্ষ টাকার হার হল চুরি,
হাত-পা ভেঙেছিলে প্রভুর দুঃখে ভরি॥১৬॥

ভয়ংকর দশা এনে দিলে কষ্ট,
তেলের ঘরে পিষে চলেছিলে নিষ্ঠ॥১৭॥

বিনয় ও সঙ্গীতের দীপ জ্বালালে,
তখন তুষ্ট হয়ে শনি সুখ দিলে॥১৮॥

হরিশচন্দ্র রাজারে করালে নিঃস্ব,
স্ত্রীকে বিক্রি করে আনতে হয় জল, নি:শ্বাস॥১৯॥

নল রাজার ওপরও এলে তোমার দৃষ্টি,
ভাজা মাছ নিজেই জলে লুকালো নিঃসন্দেহ তৃষ্ণি॥২০॥

শিবের উপরও পড়ে তোমার ছায়া,
পার্বতী হলেন সতী, সেই ছিল মায়া॥২১॥

কঠোর দৃষ্টিতে হয়েছিলে রুষ্ট,
গৌরীর পুত্রের মাথা উড়ে যায় নীহার হস্ত॥২২॥

পাণ্ডবদের ওপরও এসেছিল তোমার কাল,
দ্রৌপদী হয়েছিল উন্মুক্ত, হাহাকারে সন্ধ্যাকাল॥২৩॥

কৌরবদেরও মন ও বুদ্ধি বিপথে গেল,
যুদ্ধ মহাভারত সৃষ্টি করে দিলো কপট।॥২৪॥

সূর্যদেবকে তৎকালিকভাবে গ্রাস করে,
পাতাল তলে ঝাঁপিয়ে পড়ল সেখানেই।॥২৫॥

শেষদেব দেখলেন, প্রার্থনা এনে,
সূর্যকে মুখ থেকে ছেড়ে মুক্তি দিলেন।॥২৬॥

সাতটি বাহন আছে প্রভুর পরিচিত,
হাতি, ঘোড়া, গাধা, মৃগ এবং কুকুরের মত।॥২৭॥

শিয়াল, সিংহ ইত্যাদি চিহ্নিত,
ফল তাদের জ্যোতিষে স্পষ্ট বলা হয়েছে।॥২৮॥

হাতি বাহন আসে লক্ষ্মীগ্রহে,
ঘোড়া সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করে।॥২৯॥

গাধা বাহন কাজের মাঝে বাধা দেয়,
সিংহ রাজসিংহাসনে আসতে চায়।॥৩০॥

শিয়াল বুদ্ধি নষ্ট করে তৎকালিক,
মৃগের সাথে প্রাণে দুর্বিষহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।॥৩১॥

যখন কুকুর বাহনে শনি রাজ,
চুরি এবং ভয় ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপকভাবে।॥৩২॥

এমনিভাবে চার পা বিশিষ্ট বাহনের নাম,
সোনা, তামা, রূপা এবং লোহা সর্বদা।॥৩৩॥

লোহা দুঃখ ও ক্ষতি নিয়ে আসে,
ধন-সম্পত্তি নিয়ে চলে যায় তৎকালিক।॥৩৪॥

তামা এবং রূপা শুভ ফল দেয় কাল,
সোনার বাহন সুখকর ও মঙ্গলময়।॥৩৫॥

যে ব্যক্তি শনি চরিত্ৰ প্রতিদিন গায়,
কখনও খারাপ দশা তার উপর আক্রমণ করে না।॥৩৬॥

অদ্ভুত নাথ জীবন্ত কাজ করে,
শত্রুর শক্তি হ্রাস করে তাকে পরাজিত করে।॥৩৭॥

যোগ্য পণ্ডিতকে ডেকে সঠিকভাবে,
শনি শান্তি প্রদান করবেন শুদ্ধভাবে।॥৩৮॥

পিপঁলে জল অর্পণ করে শনি দিনের পবিত্রতা,
দীপদান করে সুখ লাভ করবে সব জীব।॥৩৯॥

রাম বললেন শুভদর্শন দাস জানালেন,
শনি স্মরণে আলোক এবং সুখ প্রবাহিত হবে।॥৪০॥

Shani Chalisa In Bengali

দোহা

জয় জয় শ্রী শনিদেব প্রভু,
শোনো বিনয় মহারাজ।
করো কৃপা হে রবিশুত,
রাখো ভক্তের লাজ॥

চৌপাই

জয় জয় শনিদেব দয়ালু,
ভক্তদের করো সদা রাখালু॥১॥

চার ভুজায় শ্যাম দেহ শোভে,
মাথায় মণিমুকুট রটে॥২॥

বিশাল ললাট মনোহর মোহন,
বাঁকা দৃষ্টি ভয়ঙ্কর ভ্রূকুটি গহন॥৩॥

কানে কুণ্ডল ঝলমল ঝলকে,
বুকে মুক্তা-মণির মালা ঝুলকে॥৪॥

হাতে গদা, ত্রিশূল ও কুঠার,
শত্রুর করো ক্ষণেই সংহার॥৫॥

পিঙ্গল, কালো ছায়ার পুত্র,
যম, কৌণস্থ, রৌদ্র, দুঃখ বিনাশক শত্রু॥৬॥

শৌরি, মন্দ, শনি – এই দশ নাম,
সূর্যপুত্র, ভক্ত করে পূজা নিরন্তর কাম॥৭॥

যে ভক্তের প্রতি তোমার কৃপা হয়,
তখনি রঙ্ক রাজায় রূপ পায়॥৮॥

পর্বতকেও ঘাস সম জানে,
ঘাসকে করে পর্বতের মানে॥৯॥

রাজ্য দিলেন বনে রামকে,
কৈকেয়ীর বুদ্ধি ঘোরালে তুমি তাঁর প্রতি শাপে॥১০॥

বনে মৃগ রূপে ভ্রম সঞ্চারিলে,
সীতামাতাকে অপহরণে চালিলে॥১১॥

লক্ষ্মণকে শক্তিতে করেছিলে অচেতন,
সেনাবাহিনীতে ছড়িয়ে পড়ে হাহাকার মন॥১২॥

রাবণের বুদ্ধি হয়েছিল বিভ্রান্ত,
রামচন্দ্রের সাথে করেছিল বৈর ঘনান্ত॥১৩॥

পিপড়ের মত দিয়েছিলে কাঞ্চন লঙ্কা,
হনুমানের বজ্রাঘাতে হল ধ্বংস চিহ্নাঙ্কা॥১৪॥

বিক্রম রাজায় রেখেছিলে পদ,
চিত্রা ময়ূর গিলেছিল হারের সদ॥১৫॥

নব লক্ষ টাকার হার হল চুরি,
হাত-পা ভেঙেছিলে প্রভুর দুঃখে ভরি॥১৬॥

ভয়ংকর দশা এনে দিলে কষ্ট,
তেলের ঘরে পিষে চলেছিলে নিষ্ঠ॥১৭॥

বিনয় ও সঙ্গীতের দীপ জ্বালালে,
তখন তুষ্ট হয়ে শনি সুখ দিলে॥১৮॥

হরিশচন্দ্র রাজারে করালে নিঃস্ব,
স্ত্রীকে বিক্রি করে আনতে হয় জল, নি:শ্বাস॥১৯॥

নল রাজার ওপরও এলে তোমার দৃষ্টি,
ভাজা মাছ নিজেই জলে লুকালো নিঃসন্দেহ তৃষ্ণি॥২০॥

শিবের উপরও পড়ে তোমার ছায়া,
পার্বতী হলেন সতী, সেই ছিল মায়া॥২১॥

কঠোর দৃষ্টিতে হয়েছিলে রুষ্ট,
গৌরীর পুত্রের মাথা উড়ে যায় নীহার হস্ত॥২২॥

পাণ্ডবদের ওপরও এসেছিল তোমার কাল,
দ্রৌপদী হয়েছিল উন্মুক্ত, হাহাকারে সন্ধ্যাকাল॥২৩॥

কৌরবদেরও মন ও বুদ্ধি বিপথে গেল,
যুদ্ধ মহাভারত সৃষ্টি করে দিলো কপট।॥২৪॥

সূর্যদেবকে তৎকালিকভাবে গ্রাস করে,
পাতাল তলে ঝাঁপিয়ে পড়ল সেখানেই।॥২৫॥

শেষদেব দেখলেন, প্রার্থনা এনে,
সূর্যকে মুখ থেকে ছেড়ে মুক্তি দিলেন।॥২৬॥

সাতটি বাহন আছে প্রভুর পরিচিত,
হাতি, ঘোড়া, গাধা, মৃগ এবং কুকুরের মত।॥২৭॥

শিয়াল, সিংহ ইত্যাদি চিহ্নিত,
ফল তাদের জ্যোতিষে স্পষ্ট বলা হয়েছে।॥২৮॥

হাতি বাহন আসে লক্ষ্মীগ্রহে,
ঘোড়া সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করে।॥২৯॥

গাধা বাহন কাজের মাঝে বাধা দেয়,
সিংহ রাজসিংহাসনে আসতে চায়।॥৩০॥

শিয়াল বুদ্ধি নষ্ট করে তৎকালিক,
মৃগের সাথে প্রাণে দুর্বিষহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।॥৩১॥

যখন কুকুর বাহনে শনি রাজ,
চুরি এবং ভয় ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপকভাবে।॥৩২॥

এমনিভাবে চার পা বিশিষ্ট বাহনের নাম,
সোনা, তামা, রূপা এবং লোহা সর্বদা।॥৩৩॥

লোহা দুঃখ ও ক্ষতি নিয়ে আসে,
ধন-সম্পত্তি নিয়ে চলে যায় তৎকালিক।॥৩৪॥

তামা এবং রূপা শুভ ফল দেয় কাল,
সোনার বাহন সুখকর ও মঙ্গলময়।॥৩৫॥

যে ব্যক্তি শনি চরিত্ৰ প্রতিদিন গায়,
কখনও খারাপ দশা তার উপর আক্রমণ করে না।॥৩৬॥

অদ্ভুত নাথ জীবন্ত কাজ করে,
শত্রুর শক্তি হ্রাস করে তাকে পরাজিত করে।॥৩৭॥

যোগ্য পণ্ডিতকে ডেকে সঠিকভাবে,
শনি শান্তি প্রদান করবেন শুদ্ধভাবে।॥৩৮॥

পিপঁলে জল অর্পণ করে শনি দিনের পবিত্রতা,
দীপদান করে সুখ লাভ করবে সব জীব।॥৩৯॥

রাম বললেন শুভদর্শন দাস জানালেন,
শনি স্মরণে আলোক এবং সুখ প্রবাহিত হবে।॥৪০॥

Shani Chalisa in Bengali-র নিয়মিত পাঠ করলে শনি দেবের কৃপা আপনার জীবনে স্থায়ী হয়। এর পাশাপাশি Shani Aarti এবং Shani Kavach-এর পাঠও আপনার জীবনে আরও শুভতা এবং সাফল্য নিয়ে আসতে পারে।

শনি চালিশা পাঠ করার পদ্ধতি

শনি চালিশা ইন বাংলা পাঠ করা হয় ভগবান শনি দেবের কৃপা প্রাপ্তির জন্য এবং তাঁর দোষ থেকে মুক্তি পাওয়ার উদ্দেশ্যে। এখানে আমরা আপনাকে এর পাঠ করার একটি সহজ এবং কার্যকর পদ্ধতি জানাচ্ছি—

  1. পরিষ্কার জায়গা: প্রথমেই, একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জায়গা নির্বাচন করুন। এটি আপনার বাড়ির কোনো পবিত্র স্থান হতে পারে, যেমন পুজোর ঘর বা বাড়ির কোনো শান্ত কোণা।
  2. স্নান: পুজোর আগে স্নান করে পরিষ্কার কাপড় পরুন। বিশুদ্ধতা সহ পুজো করলে মানসিক শান্তি মেলে এবং শনি দেবের আশীর্বাদ লাভের সম্ভাবনা বাড়ে।
  3. ধূপ জ্বালান: পুজোর স্থানে একটি প্রদীপ ও ধূপ জ্বালান। এতে পরিবেশ পবিত্র হয় এবং মন একাগ্র হয়।
  4. পাঠ করুন: এখন ভগবান শনির ছবি বা মূর্তির সামনে বসে শনি চালিশা পাঠ করুন। আপনি এটি ১১, ২১, ৫১ অথবা ১০৮ বার পাঠ করতে পারেন—আপনার শ্রদ্ধা অনুসারে যতবার ইচ্ছা ততবার পাঠ করুন।
  5. মনোযোগ দিন: প্রত্যেক শ্লোকের পর তার অর্থের দিকে মনোযোগ দিন। এতে আপনি তার প্রভাব আরও গভীরভাবে অনুভব করতে পারবেন। পাঠ করার সময় ভগবান শনির ধ্যান করুন এবং তাঁর নাম স্মরণ করুন।
  6. আরতি: পাঠ শেষ হওয়ার পর আরতি করুন এবং পরে প্রসাদ বিতরণ করুন। এটি পূজাকে সম্পূর্ণ করে এবং আশীর্বাদ লাভের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
  7. নিয়মিত পাঠ: এই চালিশার পাঠ আপনি যদি সপ্তাহে একবার, বিশেষ করে শনিবারের দিনে করেন, তাহলে এটি আরও বেশি ফলপ্রসূ হয়। নিয়মিত পাঠে শনির দোষ কমে যায় এবং জীবনে সমৃদ্ধি আসে।

নোট- আপনি যদি বাংলায় শনি চালিশা পাঠ করেন, তবে খেয়াল রাখবেন যেন সঠিক উচ্চারণে পাঠ হয়, তবেই তার প্রকৃত ফল মিলবে।

FAQ

চালিশা পাঠের জন্য কোন সময় সবচেয়ে ভালো?

চালিশা পাঠ সকালবেলায় সূর্যোদয়ের আগে বা সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের পর করা সবচেয়ে উত্তম বলে মনে করা হয়।

এই পাঠ কি যে কোনো ব্যক্তি করতে পারে?

এই পাঠ কি শুধু শনি দোষের জন্যই করা হয়?

Share

Leave a comment